Contact

Sickness এর উৎস, কাজী আজম
21 Sep, 2024

Sickness এর উৎস, কাজী আজম

জৈব-দেহে প্রধানত তিনটি ক্ষেত্রে sickness এর অস্থিত্ব প্রকাশ পায়, যথা- ১) জিনোম (Genome), ২) মাইটোকন্ড্রিয়াল মিউটেশন (Mitochondrial Mutations) ও ৩) মাইক্রোবায়োম (Microbiome) এ। সকল ক্ষেত্রে  দুইভাবে sickness সৃষ্টি হয়, যথা- ১) বংশগতি (Inherited) ও ২) অর্জিত (Acquired)। আমরা জানি, জন্মের সময় জিনোম, মাইটোকন্ড্রিয়া ও মাইক্রোবায়োমে যেসকল ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও প্রবণতার (individual's traits and susceptibility) অবস্থা নিয়ে মানুষ জন্মায় সেটি বংশগতি (Inherited) থেকে সৃষ্ট sickness। কিন্তু জন্মের পরেও মিউটেশনের (mutations) মধ্য দিয়ে জেনেটিক, মডিফিকেশনের (modifications) মধ্য দিয়ে এপিজেনেটিক, পরিবেশগত বা ডিএনএ প্রতিলিপিতে ত্রুটির কারণে (environmental factors or errors in DNA replication) মাইটোকন্ড্রিয়ায় এবং Mutations হয়ে Eubiosis থেকে Dysbiosis এ পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে মাইক্রোবায়োমে যে পরিবর্তন সাধিত হয় সেটি মূলত অর্জিত (Acquired) sickness।

একজন রিয়েল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে sickness এর উল্লেখিত তিনটি প্রধান উৎসকে বিবেচনায় রেখেই আরোগ্যের প্রচেষ্টা নিতে হবে। বর্তমানে কোন কোন হোমিওপ্যাথিক গবেষকগণের মতে শুধুমাত্র জেনেটিক বিবেচনায় শতভাগ sickness এর চিকিৎসা সম্ভব বলে প্রচারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালের কয়েকেটি আধুনিক বিজ্ঞানের গবেষণায় সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে, যার বিশ্লেষণে এই দাবীর অকার্যকারীতা প্রমানীত হয়। যেমন- University of Alberta কর্তৃপক্ষ সূত্রে December 19, 2019 তারিখে প্রকাশিত এক নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে “Your DNA is not your destiny -- or a good predictor of your health”; David Wishart, professor in the University of Alberta's Department of Biological Sciences and the Department of Computing Science and co-author on the study এর অনুসন্ধানী গবেষণা থেকে যেসকল বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে আমরা তা হুবহু তুলে ধরছি:

In most cases, your genes have less than five per cent to do with your risk of developing a particular disease, according to new research by University of Alberta scientists.

In the largest meta-analysis ever conducted, scientists have examined two decades of data from studies that examine the relationships between common gene mutations, also known as single nucleotide polymorphisms (SNPs), and different diseases and conditions.

And the results show that the links between most human diseases and genetics are shaky at best.

"Simply put, DNA is not your destiny, and SNPs are duds for disease prediction," said David Wishart, professor in the University of Alberta's Department of Biological Sciences and the Department of Computing Science and co-author on the study.

"The vast majority of diseases, including many cancers, diabetes, and Alzheimer's disease, have a genetic contribution of 5 to 10 per cent at best."

The study also highlights some notable exceptions, including Crohn's disease, celiac disease, and macular degeneration, which have a genetic contribution of approximately 40 to 50 per cent.

"Despite these rare exceptions, it is becoming increasingly clear that the risks for getting most diseases arise from your metabolism, your environment, your lifestyle, or your exposure to various kinds of nutrients, chemicals, bacteria, or viruses," explained Wishart.

Wishart and his research collaborators suggest that measuring metabolites, chemicals, proteins, or the microbiome provides a much more accurate measure of human disease risk and are also more accurate for diagnosis.

The findings fly in the face of many modern gene testing businesses models, which suggest that gene testing can accurately predict someone's risk for disease.

"The bottom line is that if you want to have an accurate measure of your health, your propensity for disease or what you can do about it, it's better to measure your metabolites, your microbes or your proteins -- not your genes," added Wishart. "This research also highlights the need to understand our environment and the safety or quality of our food, air, and water." 

ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টা বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণা অনুসারে মূল কথা - যা রিয়েল হোমিওপ্যাথিক চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ - তা হল:

১) অধিকাংশ রোগের বিকাশের ক্ষেত্রে (risk of developing a particular disease) মাত্র ৫% এরও নিচে জেনেটিকের দায় (root cause) রয়েছে। বড় বড় রোগগুলো যেমন cancers, diabetes, and Alzheimer's সৃষ্টির মূলে জেনেটিক এর দায় রয়েছে ৫% থেকে ১০% এবং ব্যাতিক্রম হিসাবে কয়েকটি বিশেষ রোগের ক্ষেত্রে যেমন Crohn's disease, celiac disease and macular degeneration এ এটি সর্ব্বোচ্চ ৪০% থেকে ৫০% হতে পারে;

২) অধিকাংশ রোগ প্রবণতা ও সৃষ্টির সঠিক দিক (root cause) জানতে ও সমাধান করতে হলে আমাদেরকে বিপাক, রাসায়নিক, প্রোটিন বা মাইক্রোবায়োম এর প্রতি বেশি নজর দিতে হবে;

৩) শুধুমাত্র জিন নয়, আমাদের পরিবেশ, খাদ্য, বায়ু এবং জলের নিরাপত্তা ও গুণগতমান বোঝার গুরুত্ব অনেক রয়েছে, যা অস্বীকার করে যথাযথ আরোগ্য (perfectly cured) অসম্ভব।

আবার NICHD গবেষকরা February 1, 2016 তারিখে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে দাবী করেছেন যত বিরল রোগ (Rare Disease) রয়েছে তার ৮০% হচ্ছে জেনেটিক রোগ।

রিয়েল হোমিওপ্যাথিতে জেনেটিক বিবেচনায় যেসকল ওষুধ নির্বাচন করা হয় তার ভিত্তি হচ্ছে “ব্যক্তির জীবন দর্শন”, এই জীবন দর্শন থেকে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বা personality বোঝা যায়। Big Five personality traits এর উপর ২০০৩ সালে পরিচালিত এক যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে যে, বংশগতি এবং পরিবেশ উভয়ই একই মাত্রায় ব্যক্তিত্বের ৫টি ফ্যাক্টরকে প্রভাবিত করে। তবে বংশগতি বা জেনেটিকস প্রতিটি ব্যক্তিত্বের ফ্যাক্টরকে ব্যপকভাবে প্রভাবিত করে। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যক্তিত্ব গঠনে ‘অভিজ্ঞতার জন্য উন্মুক্ত’ ৫৭%, ‘আন্তরিক’ ৪৯%, ‘বহির্মুখী’ ৫৪%, ‘সহমত’ ৪২% এবং ‘স্নায়বিক’ ৪৮% জেনেটিক প্রভাব রেখে থাকে। অবশিষ্টাংশে পরিবেশগত প্রভাব থাকে, অর্থাৎ শতভাগ জেনেটিকের প্রভাব প্রমানীত হয়না। 

রিয়েল হোমিওপ্যাথির থেরাপিউটিক ধারণা লোকসম্মুখে প্রথম এনেছেন আমাদের শিক্ষক ডাঃ শ্যামল কুমার দাস, তিনি তাঁর হোমিওপ্যাথিক দর্শনে ২০ শতকের Crick's Central Dogma তত্ত্ব থেকে এই বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন- “ডিএনএ এর জিন হল জীবনের ব্লুপ্রিন্ট”। 

সেন্ট্রাল ডগমা কি?

সেন্ট্রাল ডগমা হল জীববিজ্ঞানের একটি মূলনীতি যা ব্যাখ্যা করে যে, জিনগত তথ্য কীভাবে একটি জীবের মধ্যে প্রবাহিত হয়। সহজ ভাষায় বললে, এই তত্ত্ব অনুযায়ী:

ডিএনএ (DNA): একটি জীবের সমস্ত জিনগত তথ্য ধারণ করে। একে জীবের ব্লুপ্রিন্ট বলা হয়।

আরএনএ (RNA): ডিএনএ থেকে তৈরি হয় এবং প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী বহন করে।

প্রোটিন: কোষের কাজ করার জন্য দায়ী মূল অণু। আরএনএ-এর নির্দেশাবলী অনুসারে প্রোটিন তৈরি হয়।

সেন্ট্রাল ডগমার প্রক্রিয়া:

ট্রান্সক্রিপশন: ডিএনএ থেকে আরএনএ তৈরির প্রক্রিয়াকে ট্রান্সক্রিপশন বলে। 

ট্রান্সলেশন: আরএনএ থেকে প্রোটিন তৈরির প্রক্রিয়াকে ট্রান্সলেশন বলে।

এ প্রসঙ্গে Marissa Shapiro সম্প্রতি March 7, 2024 তারিখে প্রকাশিত এক প্রবন্ধের শীরোনাম করেন- “DNA is the ultimate blueprint— but epigenetics changes how it’s read”, এই প্রবন্ধটিও হুবহু উদ্বৃত করা হল:

The human genome is a rich and diverse field of study at which Vanderbilt University and Vanderbilt University Medical Center scientists stand at the forefront. William Tansey, professor of cell and developmental biology and biochemistry and co-leader of the Vanderbilt-Ingram Cancer Center Genome Maintenance Program, gives us a bird’s-eye view of the field and some of Vanderbilt’s research contributions to the space.

What is the discipline of epigenetics and human genome regulation?

In general, the big question that scientists are trying to answer is how genetic information— our DNA and the information encoded in DNA— is used. The basic problem is that every cell in your body has, for the most part, the same DNA content. And we know DNA is the blueprint for life. But we also know that all the cells in our bodies are different: A cell in the iris of our eye is very different from a cell in our liver or a cell from muscle. How can the same blueprint lead to such differences?

For a long time, scientists have been asking questions about how cells achieve such diversity and plasticity even though they’re working from the same script. The answer to that question is that cells read different parts of the blueprint depending on what their function is—and the process of reading the blueprint, and different bits of it, is called “gene expression.”

The field of gene expression is trying to understand—in very broad terms—the molecular processes that allow the use of the genetic information. Some of the control of gene expression is hard-wired into the DNA sequence. But not all. This is where epigenetics comes in.

Formally speaking, epigenetics—“epi” meaning “above”—is any form of control of gene expression that is above the level of the DNA or that is not encoded directly in the DNA.

It refers to a layer of regulation that has to do with how the genetic material is labeled and packaged. Every cell has about two meters (six feet) of DNA in it, and it exists in huge strands that are folded and wrapped around proteins into structures that layer on top of each other and pack into a sphere that’s just a few micrometers in diameter. It’s the ultimate storage solution on one hand, but it also means that the cell can control how information is used by packaging or labeling the genetic material in specific ways.

Control of gene expression by this level of packaging and labeling is epigenetics. At a molecular level, it is driven by chemical alterations in the DNA and those proteins it wraps around. Although these chemical alterations don’t change the sequence of the DNA, they can very much determine what part of our genome is expressed in a given cell.

How does this fit in the blueprint analogy?

Epigenetics is like someone taking a pencil and crossing something out—or adding something—on a blueprint, saying, “don’t make that here, make it over there.” And that’s a good analogy because, unlike the messages encoded in our DNA sequence, the messages that epigenetics communicate are reversible and changeable. That allows adaptability; genes can be expressed in specific places, at specific times, and in response to specific signals or cues.

How do scientists like yourself work to understand the human genome through epigenetics and gene expression?

The genome, epigenetics, and gene expression are all interconnected because, ultimately, gene expression is all about anything that will impact or control the ability of a cell to express a piece of its genome. Historically, the fields of gene expression and epigenetics were somewhat separate because the mechanisms of epigenetics were not really understood. But in the last two to three decades, that all changed. Now, when we talk about a piece of DNA and how that gene is regulated, we have to figure out if it’s regulated through DNA sequence, epigenetics, or a combination of both. Usually, it ends up being both. This field of gene expression is massive— it’s one of the oldest fields in molecular biology. Everybody bites off a little piece of the problem. I, for example, study how gene expression goes wrong in cancer by looking at a protein called MYC (“mick”), which alters gene expression and is influenced by epigenetic processes. My interest is in understanding how MYC controls gene expression and using that information to think of ways to stop MYC in cancer. But that’s just one sliver of the gene expression and epigenetics fields, and it’s just a fraction of gene expression research in Basic Sciences.

How are scientists in Basic Sciences probing gene expression and epigenetics?

We have a number of superb researchers here who work on different aspects of gene expression and epigenetics! My familiarity with our research in this area is mostly from the cancer perspective because I co-lead the Genome Maintenance Research Program, a cancer-focused program made up of 25 investigators working on understanding all aspects of how the genome is packaged, expressed, duplicated, and maintained— and how this can go awry in cancer.

We have amazing strength in this area. And we are attacking the problem from different perspectives. The primary interest of Emily Hodges, for example, is understanding DNA methylation, a small chemical modification that can be added to DNA that acts epigenetically to regulate gene activity. Scott Hiebert is also interested in gene regulation and epigenetics from the point of view of how aberrant gene expression occurs in leukemias. Jared Nordman and David Cortez, my GMRP co-leader, work on how epigenetics intersects with DNA replication and repair and maintenance of DNA integrity.

এই প্রবন্ধের মূল কথা হচ্ছে- যদিও জিন জীবনের নীলনকশা বা ব্লুপ্রিন্ট, কিন্তু সেই জিন কর্তৃক প্রেরিত কোডের অভিব্যক্তি নির্ভর করে এপিজেনেটিক প্রভাবের উপর এবং তার উপর নির্ধারিত হয় উৎপাদিত প্রোটিনের ধরণ কেমন হবে। আমরা জানি- ডিএনএ মিথাইলেশন প্রক্রিয়ায় এপিজেনেটিক মোডিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে থাকে, আর এপিজেনেটিক মোডিফিকেশনের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত খাদ্য ও পরিবেশ যথেষ্ঠ প্রভাব রাখে।

অতিসম্প্রতি August 1, 2024 তারিখে প্রচারিত এক ভিডিওতে Denis Noble এক সেমিনারে বক্তৃতায় তাঁর বৈপ্লবিক জেনেটিক তত্ত্বে ব্যাখ্যা করেন যে- “Genes are not the blueprint for life

জীববিজ্ঞানের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ডেনিস নোবেল একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ ফিজিওলজিস্ট এবং কার্ডিওলজিস্ট। তিনি জীববিজ্ঞান, বিশেষ করে হৃদপিণ্ডের কার্যকলাপ সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন।

ডেনিস নোবেল কেন বিখ্যাত?

হৃৎপিণ্ডের গতিবিধি: তিনি হৃৎপিণ্ডের পেশী কোষগুলি কীভাবে বিদ্যুৎ সিগন্যালের মাধ্যমে সংকুচিত এবং প্রসারিত হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা করেছেন।

সিস্টেমস বায়োলজি: তিনি সিস্টেমস বায়োলজি নামক একটি নতুন শাখায় কাজ করেছেন। এই শাখায় জীবদেহের বিভিন্ন অংশকে একটি সমন্বিত সিস্টেম হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

জীবন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি: তিনি জীবনকে কেবল রাসায়নিক বিক্রিয়ার সমষ্টি হিসাবে দেখার পরিবর্তে, একটি জটিল এবং গতিশীল সিস্টেম হিসাবে দেখার পক্ষে মত দেন।

সুতরাং ডিএনএ সেন্ট্রাল ডগমা থিয়োরী অনুযায়ী জিনকে রোগ সৃষ্টি কিংবা বিকাশের জন্য শতভাগ দায়ী বিবেচনা করার সুযোগ নেই, তবে আরোগ্য প্রক্রিয়ায় জিনগত চিকিৎসা ছাড়া স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্য লাভ করা সম্ভব নয়। আমরা এবিষয়ে হোমিওপ্যাথির জনক স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের মত নিয়ে আলোচনা করে যা জানতে পারি-

পরিবেশ ও জীবন যাত্রা প্রণালী যেমন- রুগীর বয়স, খাদ্যাভ্যাস, বৃত্তি, পারিবারিক অবস্থা, সামাজিক সংযোগ ইত্যাদি রোগবৃদ্ধির কারণ (tended to increase his malady) এবং তা আরোগ্যের জন্য প্রতিবন্ধক কিংবা সহায়ক (favour or hinder the treatment) হতে পারে বলে স্যার হ্যানিম্যান অর্গানন অব মেডিসিনের ২০৪ ও ২০৮ নম্বর অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। ১৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রাণ-ধর্মের স্বভাবজাত অস্তিত্ব (instinctive existence) বলতে মূলত তিনি ১) জিনোম (Genome), ২) মাইটোকন্ড্রিয়াল মিউটেশন (Mitochondrial Mutations) ও ৩) মাইক্রোবায়োম (Microbiome) কে জৈব-দেহে প্রধান তিনটি ক্ষেত্র হিসাবে sickness এর অস্থিত্ব ঘোষণা এবং ৫ থেকে ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে রুগীর নৈতিক ও বুদ্ধিগত চরিত্র, পেশা, জীবনযাপন পদ্ধতি, অভ্যাস, সামাজিক ও পারিবারিক সম্বন্ধ, বয়স, যৌন কার্যকলাপ প্রভৃতি সহ জীবদেহের বিভিন্ন অংশকে একটি সমন্বিত সিস্টেম হিসাবে বিবেচনা করেছেন। ৯ থেকে ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে তিনি জীবনকে কেবল রাসায়নিক বিক্রিয়ার সমষ্টি হিসাবে দেখার পরিবর্তে, একটি জটিল এবং গতিশীল সিস্টেম হিসাবে দেখার পক্ষে মত দিয়ে মানব স্বাস্থ্য, রোগ ও আরোগ্য প্রক্রিয়ার বিজ্ঞান ও কলাকে সমগ্র অর্গাননে ব্যাখ্যা করেছেন।  সুতরাং কোন একক বিষয়ের প্রতি অনুরক্ত থেকে রিয়েল হোমিওপ্যাথি করা যাবে না, কেননা তাতে প্রকৃত অর্থে স্যার হ্যানিম্যানের অর্গানন অব মেডিসিনে ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত নির্দেশণা “to restore sick to health” অর্জিত হবে না।